অর্থনীতি

১৬ দিনেই ইতালি থেকে চট্টগ্রামে পণ্যবাহী জাহাজ

চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ইউরোপে সরাসরি কনটেইনার জাহাজ চলাচলের সুযোগ তৈরি হয়েছে। ইতালি থেকে প্রথম একটি জাহাজ ‘সুঙ্গা চিতা’ পণ্য নিয়ে আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম বন্দরে ভিড়বে; ফিরতি পথে এক হাজার একক কনটেইনার বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানি পণ্য নিয়ে ইতালি যাবে। পৌঁছতে সময় লাগবে মাত্র ১৬ দিন। বাংলাদেশের ইতিহাসে এ ধরনের জাহাজ সার্ভিস চালুর উদ্যোগ এই প্রথম।

আগে একটি রপ্তানি পণ্যভর্তি কনটেইনার চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ছোট জাহাজ বা ফিডার ভেসেলে প্রথমে ট্রান্সশিপমেন্ট বন্দর-সিঙ্গাপুর-পোর্ট কেলাং-কলম্বো পৌঁছত। সেখান থেকে বড় জাহাজে তুলে ইউরোপ-আমেরিকায় যাওয়ার সুযোগ ছিল। এখন মাঝপথে কোনো বিরতি ছাড়াই অর্থাৎ ট্রান্সশিপমেন্ট বন্দরে না থেমেই জাহাজটি ইতালি পৌঁছবে। এর ফলে পণ্য পরিবহন ভাড়া ৩৫ শতাংশ কমবে এবং সময় সাশ্রয় হবে কমপক্ষে ২৩ দিন।

জানতে চাইলে সার্ভিস পরিচালনাকারী ইতালিয়ান কম্পানির দেশীয় শিপিং এজেন্ট রিলায়েন্স শিপিং অ্যান্ড লজিস্টিকসের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ রাশেদ বলেন, ‘স্বাভাবিকভাবে একটি কনটেইনার চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ট্রান্সশিপমেন্ট বন্দর হয়ে ইতালি পৌঁছতে সময় লাগে ৪০ থেকে ৪২ দিন। এখন সরাসরি পৌঁছতে সময় লাগবে ১৬-১৭ দিন, যেটি দেশের রপ্তানি পণ্যের লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। ’

তিনি বলেন, ‘করোনার খুব কঠিন সময়ে ইতালিয়ান ক্রেতা বাধ্য হয়েই এই সার্ভিস চালুর উদ্যোগ নেয়। আমরা প্রথমে দুটি জাহাজ দিয়েই সেবা চালু করব। পরবর্তী সময়ে গ্রাহক সন্তুষ্টি সাপেক্ষে সেবার পরিধি বাড়বে। ইতালিতে নেমে আমরা সেসব পণ্য জার্মানি, স্পেনেও পাঠানোর সুযোগ রাখছি। ’

উল্লেখ্য, বর্তমানে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে সরাসরি কনটেইনার জাহাজ চলাচল করে মূলত সিঙ্গাপুর, শ্রীলঙ্কার কলম্বো, মালয়েশিয়ার তানজুম পেলিপাস ও কেলাং এবং চীনের কয়েকটি বন্দরের মধ্যে। এসব বন্দর হয়ে রপ্তানি পণ্য ইউরোপ-আমেরিকার দেশগুলোতে যায়। করোনাকালে সেসব বন্দরে প্রচুর জাহাজজট তৈরি হয়। আর এতে অন্য দেশের মতো বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরাই বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। সেই পরিস্থিতি উত্তরণে ইতালিয়ান ফ্রেইট ফরোয়ার্ডার ‘রিফ লাইন’ এই নতুন সার্ভিস চালুর উদ্যোগ নেয়। এ জন্য দুটি কনটেইনার জাহাজ ‘সুঙ্গা চিতা’ ও ‘কেপ ফ্লোরেস’ চুক্তিতে ভাড়া নেয়। ৫ ফেব্রুয়ারি আসা জাহাজে ৫০ বাংলাদেশি তৈরি পোশাক ব্যবসায়ীর পণ্য রয়েছে।

Back to top button