স্বতন্ত্র প্রার্থী হবেন মান্নান!

সিদ্ধিরগঞ্জ ও সোনারগাঁ থানা নিয়ে নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনে সাবেক এমপি মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিনের মনোনয়ন প্রত্যাশীতে নড়বড়ে হয়ে গেছেন সোনারগাঁ থানা বিএনপির সভাপতি ও একই আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী আজহারুল ইসলাম মান্নান। তৃনমূলে সিদ্ধিরগঞ্জ ও সোনারগাঁয়ে মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিনের জনপ্রিয়তা থাকায় আজহারুল ইসলাম মান্নানকে ঘিরে শুরু হয়েছে নানান জল্পনা-কল্পনা। গুঞ্জন উঠেছে, নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনে গিয়াসউদ্দিনকে মনোনয়ন দেওয়া হলে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেবেন আজহারুল ইসলাম মান্নান।
যদিও গুঞ্জনের আগে এর আভাস দিয়েছেন বিএনপির এ নেতা। গত ১৭ অক্টোবর জামপুরে একটি আয়োজিত সভায় আজহারুল ইসলাম মান্নান বলেন, “আমাদের সোনারগাঁয়ের থেকে যাকে নমিনেশন দেওয়া হোক; আমরা যদি সোনারগাঁকে রক্ষা করতে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়, তাহলে যারা সোনারগাঁয়ের সাথে বেঈমানী করেছে তারা কি আমাদের সাথে পারবে?”
এদিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচনের আভাস বিএনপি নেতার এমন বক্তব্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনার ঝড় বইছে। নেটিজনরা বলছেন, উনার কথায় স্পষ্ট সিদ্ধিরগঞ্জের ভোট তার দরকার নাই। সিদ্ধিরগঞ্জকে ছোট করে দেখছেন উনি আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। অনেকেই বলছেন, মান্নান সাহেব মনে হয় স্বতন্ত্র থেকে নির্বাচন করবে এমন একটা বক্তব্য আমরা শুনতে পেলাম। উনি বুঝে গেছেন নমিনেশন উনাকে দিবে না।
তৃনমূল বলছে, সোনারগাঁয়ে মান্নানের ব্যাপক জনপ্রিয়তা থাকলেও সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় জনবিচ্ছিন্ন তিনি। সোনারগাঁয়ে ব্যাপক কর্মী থাকলেও সিদ্বিরগঞ্জে কর্মীবিহীন তিনি। রাজনৈতিকভাবে সিদ্ধিরগঞ্জে তিনি এখনো শক্ত অবস্থান তৈরি করতে পারেননি। ফলে নিজের অবস্থান বুজতে পেরে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার আভাস দিয়েছেন তিনি।
সোনারগাঁ থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি খন্দকার আবু জাফর এ বিষয়ে বলেন, “যার নির্বাচন করার ক্ষমতা নাই তাকে (মান্নান) আমি উপজেলার চেয়ারম্যান বানাইছি। মানুষের সঙ্গে কিভাবে ব্যবহার করতে হয় আমরা জানি। অতিরিক্ত অহংকার পতনের মূল। ওরা (মান্নান) মূলত দলকে ক্ষতিগ্রস্থ করার জন্য আসে। ওদের সঙ্গে ভালো কোনো লোক থাকে না। প্রাথমিকভাবে তারা বললেও তাদের সাথে ভালো লোক থাকে না।”