পদত্যাগ নেতা এমপি প্রার্থী!

বিএনপির দু:সময়ে দল থেকে পদত্যাগ করে নানা কারণে বিতর্কিত হয়েছিলেন শাহ আলম। সেই বদনাম এখনো নেতাকর্মীদের মুখে মুখে। ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার ক্ষমতাকালীন বিএনপি ক্ষমতার বাইরে থাকায় পদ পদবিতে আঁকড়ে থাকতে রাজি ছিলেন না শাহ আলম।
শাহ আলম দলের দু:সময়ে নিজের স্বার্থ রক্ষার জন্য আওয়ামী দোসরদের সাথে আঁতাত করে, স্বাস্থ্যগত কারণ দেখিয়ে দলীয় পদ থেকে পদত্যাগ করেন। এবং ফলোআপ করে দেশের জাতীয় সকল পত্র-পত্রিকায় প্রকাশ করেছেন। বর্তমানে দলের সুসময় দেখতে পেয়ে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন’কে ঘিরে এবার আড়মোড়া ভেঙে ফের সরব হচ্ছেন তিনি। তার অনুসারীদের ইতিমধ্যে মাঠে নামিয়ে দিয়েছেন গত কয়েকদিন আগে। ঢাকায় তার অনুসারীদের নিয়ে বৈঠকও করেছেন। সেই বৈঠকে খুব দ্রুত মাঠে নামার ঘোষণা দেন শাহ আলম।
এদিকে তার অনুসারীরা মনে করছে, এবার জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তাকেই মনোনয়ন দিবে বিএনপি। অথচ নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে অনেক যোগ্য প্রার্থী রয়েছে, আন্দোলন সংগ্রামে সর্বদা রাজপথে ছিলো এমন প্রার্থীও আছে অনেক।
ত্যাগীদের বাদ দিয়ে শাহ আলম মনে করেন, নারায়ণগঞ্জ-৪ (ফতুল্লা-সিদ্বিরগঞ্জ) আসনে দলের সব জরিপে মনোনয়ন দৌড়ে তিনিই এগিয়ে রয়েছেন। অথচ বিএনপির তৃণমূলে তার কোনো নামই নাই।
ফতুল্লা-সিদ্বিরগঞ্জ বিএনপির একাংশ নেতাদের অভিযোগ, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার হামলা-মামলা খেয়ে আমরা রাজপথে আন্দোলন সংগ্রাম করেছি। আমাদের অনেক নেতাকর্মী বাড়িতে থাকতে পারে নাই। সেই দু;সময়ে আমরা শাহ আলমকে রাজপথে দেখেনি। রাজপথে নেয়া দলীয় কোনো কর্মসূচিতেই তার অংশগ্রহণ ছিল না। মাঝেমধ্যে ঘরোয়া কর্মসূচিতে তার অনুসারীদের উপস্থিত হয়ে থাকলেও সেটি খুব বেশি সময়ের জন্য ছিল না। এমনকি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে ও জুলাই আন্দোলনে শাহ আলমের সক্রিয় কোনো ভূমিকা নেই। অবশ্য এসব বিষয়কে মনোনয়ন ইস্যুতে বড় ফ্যাক্টরই মনে করেন না তার সমর্থিত নেতাকর্মীরা।
সূত্র জানায়, নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনিত প্রার্থী কবরীর সঙ্গে ভোটের লড়াইয়ে পরাজিত হয়ে ঘরে ফিরে যান শাহআলম। এর পর থেকে ধীরে ধীরে দল থেকে দূরে সরে যান তিনি, পরিশেষে স্বাস্থ্যগত কারণে দলীয় পদ থেকে পদত্যাগ করেন তিনি। এখন দেখার বিষয় বিএনপি থেকে পদত্যাগ করা শাহ আলমকে দল কতটুকু মূল্যায়ন করে।