শিক্ষক কর্তৃক তিন ছাত্রী অপহরণ ১৯ দিন পর উদ্ধার লম্পট শিক্ষক মিজান গ্ৰেফতার!
শিক্ষক কর্তৃক তিন ছাত্রী অপহরণ ১৯ দিন পর উদ্ধার লম্পট শিক্ষক মিজান গ্ৰেফতার!

স্টাফ রিপোর্টার (Somoysokal) নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানার অন্তর্গত পাগলা উচ্চ বিদ্যালয়ের তিন ছাত্রীকে অপহরণ করে গ্রেফতার কৃত আর্ট শিক্ষক মিজান। ১৯ দিন পেরিয়ে গেলেও মেয়েদেরকে উদ্ধার করতে না পেরে হতাশ বাবা-মা। বিষয়টি ২৪ জুন মঙ্গলবার জানতে পেরে সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম শফিক, কুতুবপুর ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি মাসুম আহমেদ রাজ,৬ নং ওয়ার্ড বিএনপির সহ-সভাপতি আনোয়ার হোসেন আনু, সাধারণ সম্পাদক ডি এম আহসান হাবীব,সহ সাংগঠনিক সম্পাদক জাকির হোসেন, ছাত্র সমন্বয়ক সজীব ও ফতুল্লা থানা পুলিশের সহযোগিতায় মোহাম্মদপুর থেকে অপহরণ কৃত মেয়েদেরকে উদ্ধার করা হয় এবং সেই লম্পট শিক্ষক মিজান কে গ্রেফতার করে প্রথমে মোহাম্মদপুর থানায় তারপর ফতুল্লা থানায় নিয়ে আসা হয়।
জানাযায় ইতিপূর্বে এই লম্পট শিক্ষক মিজানের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা রয়েছে। লম্পট মিজান সাহিত্য সংগঠন নামীয় একটি সংগঠনের সক্রিয় সদস্য, মিজানের কাজ হচ্ছে নামে বেনামে আর্ট কোচিং সেন্টার খোলে বিভিন্ন প্রলোভনে মেয়েদের সাথে অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তোলা এবং অনৈতিক কর্মকাণ্ডের ভিডিও ধারণ করে ব্লাকমেইল করে তার আয়ত্তে নিয়ে গিয়ে অনৈতিক কর্মকাণ্ডের সাথে সম্পৃক্ত করা।
তবে দীর্ঘ ১৯ দিন পর্যন্ত মেয়েদের উদ্ধার না করতে পারায় স্কুলের প্রধান শিক্ষক, স্কুলের সভাপতি ইউএনও এবং পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সচেতন মহল।
এই বিষয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষক সেলিনা বেগম বলেন আমি তিন দিন পুর্বে ঘটনাটি শুনেছি গার্ডিয়ানদের থানায় অভিযোগ করতে বলেছি কিন্তু পরবর্তীতে তারা আমার কাছে আসেনি। এই লম্পট শিক্ষক স্কুলে কোচিং করানোর অনুমতি পেল কিভাবে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন আমি জানিনা।
স্কুলের সভাপতি সদর উপজেলা ইউএনও মোহাম্মদ জাফর সাদিক চৌধুরী বলেন এতবড় একটি ঘটনা আমি জানিনা এই প্রথম শুনলাম আগে মেয়েদের উদ্ধার করা জরুরি তার পর স্কুল কর্তৃপক্ষ এবং ঘটনার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্ৰহন করা হবে।
ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ শরীফুল ইসলাম বলেন মিজান একজন লম্পট সে তার ব্যাক্তিগত সার্থ হাসিল করার কারণেই এ ধরনের নেক্কারজনক ঘটনা ঘটায় ইতিপূর্বেও তার বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা রয়েছে, এখন তাকে ৪ জন ভিকটিমকে অপহরণ ও ধর্ষণ মামলায় আদালতে প্রেরণ করা হবে।