প্রধানমন্ত্রীর জনসভা ঘিরে নারায়ণগঞ্জে বড় জমায়েতের প্রস্তুতি
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শেষ নির্বাচনী জনসভা ঘিরে ব্যস্ত সময় পার করছেন নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। অতীতের চেয়ে নারায়ণগঞ্জের ইতিহাসে স্মরণকালের সর্ববৃহৎ বড় জমায়েত করতে চায় দলটি।
৪ জানুয়ারি নারায়ণগঞ্জের একেএম শামসুজ্জোহা স্টেডিয়ামে জনসভায় ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা।
আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন, প্রধানমন্ত্রীর নারায়ণগঞ্জ আগমনের বার্তায় শুধু নারায়ণগঞ্জ নয়, জেলা ও উপজেলার নেতা-কর্মীদের মধ্যে প্রাণচাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। সর্বশেষ ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে ওসমানী পৌর স্টেডিয়ামে এক নির্বাচনী জনসভায় নারায়ণগঞ্জ শহরে এসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এদিকে জনসভাকে সামনে রেখে মঙ্গলবার (২ জানুয়ারী) দুপুরে জনসভার মাঠ পরিদর্শন করেছেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই, নারায়ণগঞ্জ-৪ আসেনর বর্তমান সংসদ সদস্য ও নৌকা প্রতীকের প্রার্থী একেএম শামীম ওসমান, নারায়ণগঞ্জ-২ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য ও নৌকা প্রতীকের প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাবু।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, প্রধানমন্ত্রীর জনসভা উপলক্ষে সাজানো হচ্ছে শামসুজ্জোহা ক্রীড়া কমপ্লেক্স। জনসভার জন্য একদিকে মঞ্চ সাজানো হচ্ছে। মঞ্চকে ঘিরে নিরাপ্ত্তা বেষ্টনী তৈরী করা হচ্ছে। জনসভার জন্য নারী ও পুরুষের আলাদা বসার জায়গা নির্ধারণ করা হয়েছে। সভায় অংশগ্রহণকারীদের বসার জন্য ব্যবস্থার কাজ চলমান আছে।প্রস্তুতির জন্য মাঠে সার্বক্ষণিক কাজ করে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগ, যুব লীগের ও ছাত্র লীগের নেতাকর্মীরা। সমাবেশস্থল নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন করার লক্ষ্যে পুলিশ ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হচ্ছে।
জনসভার প্রস্তুতি নিয়ে শামীম ওসমান বলেছেন, নিরাপত্তা রক্ষীরা প্রচন্ড ভালো কাজ করছে। ওনারা যেভাবে বলছে আমরা সেভাবে কাজ করছি। কিন্তু আমরা নিজেরাও নেত্রীর কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করছি। আমি আশাবাদী এই সমাবেশটা নারায়ণগঞ্জের সর্বকালের সবচেয়ে বড় মিটিং হবে।
এদিকে জনসভা উপলক্ষে এরই মধ্যে মাইকিং ও প্রচার-প্রচারণা শুরু হয়ে গেছে। শহরের বিভিন্ন সড়কে তোরণ নির্মাণ করা হয়েছে। শহরের বেশ কয়েকটি সড়কসহ বিভিন্ন এলাকায় প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় প্রধানকে স্বাগত জানিয়ে ব্যানার, ফেস্টুন, পোস্টার টাঙিয়েছেন নেতারা।