সারাদেশ

গিয়াস মাঠে মান্নান ঘরে

নারায়ণগঞ্জ-৩ (সোনারগাঁ-সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনে ৩১ দফার প্রচারণা ও ধানের শীষের ভোটের জন্য চলছে ভিন্ন কৌশল। এ আসনের হেভিওয়েট প্রার্থী সাবেক এমপি মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন ও তার দুই ছেলে গোলাম মুহাম্মদ সাদরিল ও কায়সার রিফাত প্রতিদিন দুই থানার বিভিন্ন ওয়ার্ড ও ইউনিয়নে ব্যাপকভাবে প্রচারণায় নেমেছেন। বিএনপি ক্ষমতায় গেলে কিভাবে দেশ পরিচালিত হবে এ বিষয়ে তারা জনগণকে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন। 

অন্যদিকে, স্বতন্ত্রের ইঙ্গিত দেয়া এ আসনের আরেক প্রার্থী সোনারগাঁ থানা বিএনপির সভাপতি আজহারুল ইসলাম মান্নান নিজের অবস্থান বুজতে পেরে প্রচারনায় অনীহা দেখাচ্ছেন। সোনারগাঁয়ে ২-১টি অনুষ্ঠানে দেখা গেলেও সিদ্ধিরগঞ্জে প্রচারণায় নেই। ঘরে থেকে নিজে না নামলেও ছেলে সজিব সিদ্বিরগঞ্জে ২-৩টি অনুষ্ঠানে থানা বিএনপির মূল কমিটির কাউকে না নিয়ে করেছেন প্রচারণা। যার কারণে স্থানীয়দের মাঝে অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছেন তিনি। 

সূত্র জানায়, সোনারগাঁ ও সিদ্বিরগঞ্জ আসনে সাংগঠনিকভাবে গিয়াসউদ্দিন অত্যন্ত শক্তিশালী। দুই থানায় রয়েছে তার ব্যাপক কর্মীবাহিনী।  অপরদিকে, আজহারুল ইসলাম মান্নান সোনারগাঁয়ে একচেটিয়া রাজনীতি করলেও বিএনপির রাজনীতিতে সাংগঠনিকভাবে দূর্বল। থানা বিএনপি, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড বিএনপির অনেক নেতাকমীর সাথে দুর্ব্যবহার ও বন্দর থানাকে সন্ত্রাসী এলাকায় বলায় তৃনমূলের অনেক নেতাকর্মী তার থেকে ছিটকে গেছেন।

প্রচারণার মাঠে দুই থানার নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে বোঝা গেছে, নারায়ণগঞ্জের ৫টি আসনের ধানের শীষের প্রার্থীকে বিজয়ী করতে কাজ করছে সাবেক এমপি মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন। দলের তৃণমূল এবং বিভাজিত নেতাদের এক কাতারে আনতে করে যাচ্ছেন পরিশ্রম। তারা ধারণা করছেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বিএনপির সিনিয়র রাজনীতিবীদ গিয়াসউদ্দিনকে মূল্যায়ন করবেন। 

বিএনপির তৃনমূল বলছেন, মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন ঐক্যের ডাক দিলেও আজহারুল ইসলাম মান্নান ও ছেলে খাইরুল ইসলাম সজিব অনীহা দেখিয়ে পদবীহিন নেতাকর্মীদেরকে নিয়ে বিএনপিতে বিভাজন করার চেষ্টা করছেন। তাদেরকে একসাথে কাজ করার জন্য চিঠি দেওয়া হলেও তারা সেটাকে কর্ণপাত করেনি। যদি আলাদিনের চেরাগের মতো মান্নান সাহেব মনোনয়ন পেয়ে এমপি হয়ে যায় তাহলে তৃনমূলের একটি নেতাকেও কোনোভাবে সে মূল্যায়ন করবে না। সোনারগাঁয়ে যা করেছে সিদ্বিরগঞ্জেও তা করবে। 

দলের হাইকমান্ড ও সিনিয়র নেতৃবৃন্দের দৃষ্টি আকর্ষণ করে তারা বলেন, আমরা এ আসনে শিক্ষিত ও সাংগঠনিক এমপি চাই। বিগত স্বৈরাচার সরকারের কোনো সন্ত্রাসীদের মতো আমরা এমপি চাই না। 

 

Leave a Reply

Back to top button